- সর্বাপেক্ষা পরস্পর একাপ্রভাবে প্রেম কর; কেননা ‘‘প্রেম পাপরাশি আচ্ছাদন করে।”
- তোমাদের সমস্ত ভাবনার ভার তাঁহার উপরে ফেলিয়া দেও; কেননা তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন।
- আর কেশবিন্যাস ও স্বর্ণাভরণ কিম্বা বস্ত্র পরিধানরূপ বাহ্য ভূষণ, তাহা নয়, কিন্তু হৃদয়ের গুপ্ত মনুষ্য, মৃদু ও প্রশান্ত আত্মার অক্ষয় শোভা, তাহাদের ভূষণ হউক; তাহাই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে বহুমূল্য।
- তোমরা তাঁহাকে না দেখিয়াও প্রেম করিতেছ; এখন দেখিতে পাইতেছ না, তথাপি তাঁহাতে বিশ্বাস করিয়া অনির্বচনীয় ও গৌরবযুক্ত আনন্দে উল্লাস করিতেছ, এবং তোমাদের বিশ্বাসের পরিণাম, অর্থাৎ আত্মার পরিত্রাণ প্রাপ্ত হইতেছ।
- আর সমস্ত অনুগ্রহের ঈশ্বর, যিনি তোমাদিগকে খ্রীষ্টে আপনার অনন্ত প্রতাপ প্রদানার্থে আহ্বান করিয়াছেন, তিনি নিজে তোমাদের ক্ষণিক দুঃখভোগের পর তোমাদিগকে পরিপক্ব, সুস্থির, সবল, বদ্ধমূল করিবেন।
- অবশেষে বলি, তোমরা সকলে সমমনা, পরদুঃখে দুঃখিত, ভ্রাতৃপ্রেমিক, স্নেহবান ও নম্রমনা হও।
- কারণ,
‘‘যে ব্যক্তি জীবন ভালবাসিতে চায়,
ও মঙ্গলের দিন দেখিতে চায়,
সে মন্দ হইতে আপন জিহ্বাকে,
ছলনাবাক্য হইতে আপন ওষ্ঠকে নিবৃত্ত করুক।
সে মন্দ হইতে ফিরুক ও সদাচরণ করুক,
শান্তির চেষ্টা করুক, ও তাহার অনুধাবন করুক।” - কিন্তু যিনি তোমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, সেই পবিত্রতমের ন্যায় আপনারাও সমস্ত আচার ব্যবহারে পবিত্র হও; কেননা লেখা আছে, ‘‘তোমরা পবিত্র হইবে, কারণ আমি পবিত্র”।
- তিনি আমাদের ‘‘পাপভার তুলিয়া লইয়া” আপনি নিজ দেহে কাষ্ঠের উপরে বহন করিলেন, যেন আমরা পাপের পক্ষে মরিয়া ধার্মিকতার পক্ষে জীবিত হই; ‘‘তাঁহারই ক্ষত দ্বারা তোমরা আরোগ্যপ্রাপ্ত হইয়াছ”।
- কিন্তু সকল বিষয়ের পরিণাম সন্নিকট; অতএব সংযমশীল হও, এবং প্রার্থনার নিমিত্ত প্রবুদ্ধ থাক।