স্মরণে রাখিও, মিসর দেশে তুমি দাস ছিলে, কিন্তু তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু বলবান হস্ত ও বিস্তারিত বাহু দ্বারা তথা হইতে তোমাকে বাহির করিয়া আনিলেন; এই জন্য তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু বিশ্রামদিন পালন করিতে তোমাকে আজ্ঞা করিয়াছেন।
দাসগণকে বল, যেন তাহারা আপন আপন স্বামীর বশীভূত ও সর্ববিষয়ে সন্তোষদায়ক হয়, প্রতিবাদ না করে, কিছুই আত্মসাৎ না করে, কিন্তু সর্বপ্রকার উত্তম বিশ্বস্ততা দেখায়; যেন তাহারা আমাদের ত্রাণকর্তা ঈশ্বরের শিক্ষা সর্ববিষয়ে ভূষিত করে।
তোমাদের মধ্যে সেইরূপ হইবে না; কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে কেহ মহান হইতে চায়, সে তোমাদের পরিচারক হইবে; এবং তোমাদের মধ্যে যে কেহ প্রধান হইতে চায়, সে তোমাদের দাস হইবে।
কেননা যখন আমরা তাঁহার মৃত্যুর সাদৃশ্যে তাঁহার সহিত একীভূত হইয়াছি, তখন অবশ্য পুনরুত্থানের সাদৃশ্যেও হইব। আমরা ত ইহা জানি যে, আমাদের পুরাতন মনুষ্য তাঁহার সহিত ক্রুশারোপিত হইয়াছে, যেন পাপদেহ শক্তিহীন হয়, যাহাতে আমরা পাপের দাস আর না থাকি।
প্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কারণ তিনি আমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার প্রচার করিবার জন্য; তিনি আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, বন্দিগণের কাছে মুক্তি প্রচার করিবার জন্য, অন্ধদের কাছে চক্ষুদান প্রচার করিবার জন্য, উপদ্রুতদিগকে নিস্তার করিয়া বিদায় করিবার জন্য।
ইহা জানিয়া করে যে, ধার্মিকের জন্য নহে, কিন্তু যাহারা অধর্মী ও অদম্য, ভক্তিহীন ও পাপী, অসাধু ও ধর্মবিরোধী, পিতৃহন্তা ও মাতৃহন্তা, নরহন্তা, ব্যভিচারী, পুঙ্গামী, মনুষ্যচোর, মিথ্যাবাদী, মিথ্যাশপথকারী, তাহাদের জন্য, এবং আর যাহা কিছু নিরাময় শিক্ষার বিপরীত, তাহার জন্য ব্যবস্থা স্থাপিত হইয়াছে। ইহা পরম ধন্য ঈশ্বরের সেই গৌরবের সুসমাচার অনুযায়ী, যে সুসমাচার আমার নিকটে গচ্ছিত হইয়াছে।
যে ব্যক্তি পরাৎপরের অন্তরালে থাকে, সে সর্বশক্তিমানের ছায়াতে বসতি করে। আমি সদাপ্রভুর বিষয়ে বলিব, ‘তিনি আমার আশ্রয়, আমার দুর্গ, আমার ঈশ্বর, আমি তাঁহাতে নির্ভর করিব’।