পিতঃ, আমার ইচ্ছা এই, আমি যেখানে থাকি, তুমি আমায় যাহাদিগকে দিয়াছ, তাহারাও যেন সেখানে আমার সঙ্গে থাকে, যেন তাহারা আমার সেই মহিমা দেখিতে পায়, যাহা তুমি আমাকে দিয়াছ, কেননা জগৎ পত্তনের পূর্বে তুমি আমাকে প্রেম করিয়াছিলে।
হে সদাপ্রভু, আমার প্রার্থনা শ্রবণ কর, আমার আর্তনাদে কর্ণ দেও, আমার অশ্রুপাতে নীরব থাকিও না; কেননা আমি তোমার কাছে বিদেশী, আমার সমস্ত পিতৃলোকের ন্যায় প্রবাসী।
তাঁহারা প্রভুর সেবা ও উপবাস করিতেছিলেন, এমন সময়ে পবিত্র আত্মা কহিলেন, আমি বার্ণবা ও শৌলকে যে কার্যে আহ্বান করিয়াছি, সেই কার্যের নিমিত্ত আমার জন্য এখন তাহাদিগকে পৃথক করিয়া দেও।
পরে তিনি সেই পাঁচখানা রুটি ও দুইটি মাছ লইয়া স্বর্গের দিকে ঊর্ধ্বদৃষ্টি করিয়া সেইগুলিকে আশীর্বাদ করিলেন, ও ভাঙ্গিলেন; আর লোকদের সম্মুখে রাখিবার জন্য শিষ্যগণকে দিতে লাগিলেন। তাহাতে সকলে আহার করিয়া তৃপ্ত হইল, এবং তাহারা যাহা অবশিষ্ট রাখিল, সেই সকল গুঁড়াগাঁড়া কুড়াইলে পর বারো ডালা হইল।
আর আমি যিহূদা-কুলকে বিক্রমী করিব, যোষেফ-কুলকে ত্রাণপ্রাপ্ত করিব, এবং তাহাদিগকে ফিরাইয়া আনিব, কেননা তাহাদের প্রতি আমার করুণা আছে, এবং তাহারা এমন হইবে, যেন আমি তাহাদিগকে পরিত্যাগ করি নাই; কারণ আমিই তাহাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আর আমি তাহাদিগকে প্রার্থনার উত্তর দিব।
আর যখন সমস্ত লোক বাপ্তাইজিত হয়, তখন যীশুও বাপ্তাইজিত হইয়া প্রার্থনা করিতেছেন, এমন সময়ে স্বর্গ খুলিয়া গেল, এবং পবিত্র আত্মা দৈহিক আকারে, কপোতের ন্যায়, তাঁহার উপরে নামিয়া আসিলেন, আর স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, ‘‘তুমি আমার প্রিয় পুত্র, তোমাতেই আমি প্রীত।”
দেখ, পিতা আমাদিগকে কেমন প্রেম প্রদান করিয়াছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান বলিয়া আখ্যাত হই; আর আমরা তাহাই বটে। এই জন্য জগৎ আমাদিগকে জানে না, কারণ সে তাঁহাকে জানে নাই।
এবং আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি; এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি যেমন কাহারও কাহারও অভ্যাস বরং পরসপরকে চেতনা দিই; আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এই বিষয়ে তৎপর হই।