এখন আমি নবূখদ্নিৎসর সেই স্বর্গরাজের প্রশংসা, প্রতিষ্ঠা ও সমাদর করিতেছি; কেননা তাঁহার সমস্ত ক্রিয়া সত্য, ও তাঁহার পথ সকল ন্যায্য; আর যাহারা স্বগর্বে চলে, তিনি তাহাদিগকে খর্ব করিতে পারেন।
ধিক্ তাহাকে, যে আপন নির্মাতার সহিত বিবাদ করে; সে ত মাটির খোলার মধ্যবর্তী খোলা মাত্র। মৃত্তিকা কি কুম্ভকারকে বলিবে, ‘তুমি কি নির্মাণ করিতেছ?’ তোমার রচিত বস্তু কি বলিবে, ‘উহার হস্ত নাই?’
তোমাদের মধ্যে সেইরূপ হইবে না; কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে কেহ মহান হইতে চায়, সে তোমাদের পরিচারক হইবে; এবং তোমাদের মধ্যে যে কেহ প্রধান হইতে চায়, সে তোমাদের দাস হইবে।
পরন্তু, যে শক্তি আমাদের মধ্যে কার্য সাধন করে, সেই শক্তি অনুসারে যিনি আমাদের সমস্ত যাচ্ঞা ও চিন্তার অতীত অতিরিক্ত কর্ম করিতে পারেন, মণ্ডলীতে এবং খ্রীষ্ট যীশুতে যুগপর্যায়ের যুগে যুগে সমস্ত পুরুষানুক্রমে তাঁহারই মহিমা হউক। আমেন।
হে সদাপ্রভু, আমার প্রার্থনা শ্রবণ কর, আমার আর্তনাদে কর্ণ দেও, আমার অশ্রুপাতে নীরব থাকিও না; কেননা আমি তোমার কাছে বিদেশী, আমার সমস্ত পিতৃলোকের ন্যায় প্রবাসী।
অতএব তোমরা এই মত প্রার্থনা করিও; হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক, তোমার রাজ্য আইসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক।
হে দেশস্থ সমস্ত নম্র লোক, তাঁহার শাসন পালন করিয়াছ যে তোমরা, তোমরা সদাপ্রভুর অন্বেষণ কর, ধর্মের অনুশীলন কর, নম্রতার অনুশীলন কর; হয় ত সদাপ্রভুর ক্রোধের দিনে তোমরা গুপ্তস্থানে রক্ষা পাইবে।
কিন্তু করগ্রাহী দূরে দাঁড়াইয়া স্বর্গের দিকে চক্ষু তুলিতেও সাহস পাইল না, বরং সে বক্ষে করাঘাত করিতে করিতে কহিল, হে ঈশ্বর, আমার প্রতি, এই পাপীর প্রতি দয়া কর।
কেননা ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও কার্যসাধক, এবং সমস্ত দ্বিধার খড়্গ অপেক্ষা তীক্ষ্ণ, এবং প্রাণ ও আত্মা, গ্রন্থি ও মজ্জা, এই সকলের বিভেদ পর্যন্ত মর্মভেদী, এবং হৃদয়ের চিন্তা ও বিবেচনার সূক্ষ্ম বিচারক।