স্বামীরা, তোমরা আপন আপন স্ত্রীকে সেইরূপ প্রেম কর, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে প্রেম করিলেন, আর তাহার নিমিত্ত আপনাকে প্রদান করিলেন; যেন তিনি জলস্নান দ্বারা বাক্যে তাহাকে শুচি করিয়া পবিত্র করেন।
আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই, তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না। আমার পিতা, যিনি তাহাদের আমাকে দিয়াছেন, তিনি সর্বাপেক্ষা মহান; এবং কেহই পিতার হস্ত হইতে কিছুই কাড়িয়া লইতে পারে না। আমি ও পিতা, আমরা এক।
তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদের সদৃশ হইও না, তাহাদিগকে পূর্বকালীন ভাববাদীগণ উচ্চৈঃস্বরে বলিত, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমরা আপন আপন কুপথ হইতে ও আপন আপন কুকার্য হইতে ফির; কিন্তু তাহারা শুনিত না, আমার কথায় কর্ণপাত করিত না, ইহা সদাপ্রভু বলেন।
অতএব, হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা জানিও, এই ব্যক্তির দ্বারা পাপের মোচন তোমাদিগকে জ্ঞাত করা যাইতেছে; আর মোশির ব্যবস্থাতে তোমরা যে সকল বিষয়ে ধার্মিক গণিত হইতে পারিতে না, যে কেহ বিশ্বাস করে, সে সেই সকল বিষয়ে এই ব্যক্তিতেই ধার্মিক গণিত হয়।
তখন পিতর তাঁহার নিকটে আসিয়া কহিলেন, প্রভু, আমার ভ্রাতা আমার নিকটে কত বার অপরাধ করিলে আমি তাহাকে ক্ষমা করিব? কি সাত বার পর্যন্ত? যীশু তাঁহাকে কহিলেন, তোমাকে বলিতেছি না, সাত বার পর্যন্ত নয়, কিন্তু সত্তর গুণ সাত বার পর্যন্ত।
অবশেষে, হে ভ্রাতৃগণ, যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্গুণ ও যে কোন কীর্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।
আর যদি তোমার ভ্রাতা তোমার নিকটে কোন অপরাধ করে, তবে যাও, যখন কেবল তোমাতে ও তাহাতে থাক, তখন সেই দোষ তাহাকে বুঝাইয়া দেও। যদি সে তোমার কথা শুনে, তুমি আপন ভ্রাতাকে লাভ করিলে।
ফলতঃ আমি অদ্য তোমাকে এই আজ্ঞা দিতেছি যে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করিতে, তাঁহার পথে চলিতে এবং তাঁহার আজ্ঞা, তাঁহার বিধি ও তাঁহার শাসন পালন করিতে হইবে; তাহা করিলে তুমি বাঁচিবে ও বৃদ্ধি পাইবে; এবং যে দেশ অধিকার করিতে যাইতেছ, সেই দেশে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করিবেন।
দেখ, পিতা আমাদিগকে কেমন প্রেম প্রদান করিয়াছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান বলিয়া আখ্যাত হই; আর আমরা তাহাই বটে। এই জন্য জগৎ আমাদিগকে জানে না, কারণ সে তাঁহাকে জানে নাই।