- ঈশ্বরের নিকটবর্তী হও, তাহাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্তী হইবেন। হে পাপিগণ, হস্ত শুচি কর; হে দ্বিমনা লোক সকল, হৃদয় বিশুদ্ধ কর।
- ধার্মিকের বিপদ অনেক,
কিন্তু সেই সকল হইতে সদাপ্রভু তাহাকে উদ্ধার করেন। - যে কোন অস্ত্র তোমার বিপরীতে গঠিত হয়, তাহা সার্থক হইবে না; যে কোন জিহ্বা বিচারে তোমার প্রতিবাদিনী হয়, তাহাকে তুমি দোষী করিবে। সদাপ্রভুর দাসদের এই অধিকার, এবং আমা হইতে তাহাদের এই ধার্মিকতা লাভ হয়, ইহা সদাপ্রভু কহেন।
- অতএব তোমরা একজন অন্য জনের কাছে আপন আপন পাপ স্বীকার কর, ও একজন অন্য জনের নিমিত্ত প্রার্থনা কর, যেন সুস্থ হইতে পার। ধার্মিকের বিনতি কার্যসাধনে মহাশক্তিযুক্ত।
- তোমার মুখ খোল, ন্যায় বিচার কর,
দুঃখী ও দরিদ্রের বিচার কর। - সদাচরণ শিক্ষা কর, ন্যায়বিচারের অনুশীলন কর, উপদ্রবী লোককে শাসন কর, পিতৃহীন লোকের বিচার নিষপত্তি কর, বিধবার পক্ষ সমর্থন কর।
- তুমি সদাপ্রভুতে আপনার ভার অর্পণ কর;
তিনিই তোমাকে ধরিয়া রাখিবেন,
কখনও ধার্মিককে বিচলিত হইতে দিবেন না। - কিন্তু বিচার জলবৎ প্রবাহিত হউক, ধার্মিকতা চিরপ্রবহমান স্রোতের ন্যায় বহুক।
- অতএব, হে মনুষ্য, তুমি যে বিচার করিতেছ, তুমি যে কেহ হও, তোমার উত্তর দিবার পথ নাই; কারণ যে বিষয়ে তুমি পরের বিচার করিয়া থাক, সেই বিষয়ে আপনাকেই দোষী করিয়া থাক; কেননা তুমি যে বিচার করিতেছ, তুমি সেই মত আচরণ করিয়া থাক।
- কারণ ঈশ্বর-দেয় এক ধার্মিকতা সুসমাচারে প্রকাশিত হইতেছে, তাহা বিশ্বাসমূলক ও বিশ্বাসজনক, যেমন লেখা আছে, ‘‘কিন্তু ধার্মিক ব্যক্তি বিশ্বাস হেতু বাঁচিবে”।
- হে ঈশ্বর, আমাকে অনুসন্ধান কর,
আমার অন্তঃকরণ জ্ঞাত হও;
আমার পরীক্ষা কর, আমার চিন্তা সকল জ্ঞাত হও;
আর দেখ, আমাতে দুষ্টতার পথ পাওয়া যায় কি না,
এবং সনাতন পথে আমাকে গমন করাও। - অতএব তুমি ধার্মিকতা ও বিচার বুঝিবে,
ন্যায় ও সমস্ত উত্তম পথ অবগত হইবে। - ধন্য যাহারা ধার্মিকতার জন্য তাড়িত হইয়াছে, কারণ স্বর্গ-রাজ্য তাহাদেরই।
- হে মনুষ্য, যাহা ভাল, তাহা তিনি তোমাকে জানাইয়াছেন; বস্তুতঃ ন্যায্য আচরণ, দয়ায় অনুরাগ ও নম্রভাবে তোমার ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন, ইহা ব্যতিরেকে সদাপ্রভু তোমার কাছে আর কিসের অনুসন্ধান করেন?
- ধার্মিকতা জাতিকে উন্নত করে,
কিন্তু পাপ লোকবৃন্দের কলঙ্ক স্বরূপ। - কেননা ধার্মিকগণের প্রতি প্রভুর চক্ষু আছে;
তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে;
কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল। - কোন শাসনই আপাততঃ আনন্দের বিষয় বোধ হয় না; কিন্তু দুঃখের বিষয় বোধ হয়, তথাপি তদ্দ্বারা যাহাদের অভ্যাস জন্মিয়াছে, তাহা পরে তাহাদিগকে ধার্মিকতার শান্তিযুক্ত ফল প্রদান করে।
- ধার্মিকতার সহিত অল্পও ভাল,
তথাপি অন্যায়ের সহিত প্রচুর আয় ভাল নয়। - কেননা ধার্মিকতার নিমিত্ত, প্রত্যেক বিশ্বাসীর পক্ষে, খ্রীষ্টই ব্যবস্থার পরিণাম।
- তোমরা অবিশ্বাসীদের সহিত অসমভাবে জোঁয়ালিতে বদ্ধ হইও না; কেননা ধর্মে ও অধর্মে পরস্পর কি সহযোগিতা? অন্ধকারের সহিত দীপ্তিরই বা কি সহভাগিতা?
- কিন্তু এখন ব্যবস্থা ব্যতিরেকেই ঈশ্বর-দেয় ধার্মিকতা প্রকাশিত হইয়াছে, আর ব্যবস্থা ও ভাববাদিগণ কর্তৃক তাহার পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়া হইতেছে। ঈশ্বর-দেয় সেই ধার্মিকতা যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা যাহারা বিশ্বাস করে, তাহাদের সকলের প্রতি বর্তে- কারণ প্রভেদ নাই।
- মুখ দ্বারা পাষণ্ড আপন প্রতিবাসীকে নষ্ট করে;
কিন্তু জ্ঞান দ্বারা ধার্মিকগণ উদ্ধার পায়। - ধার্মিকের অল্প সম্পত্তি ভাল,
বহুদুষ্টের ধনরাশি অপেক্ষা ভাল।
কারণ দুষ্টদের বাহু ভগ্ন হইবে;
কিন্তু সদাপ্রভু ধার্মিকদিগকে ধরিয়া রাখেন। - তিনি ধার্মিকতা ও ন্যায়বিচার ভালবাসেন;
পৃথিবী সদাপ্রভুর দয়াতে পরিপূর্ণ। - কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।
