যদিও ডুমুরবৃক্ষ পুষিপত হইবে না, দ্রাক্ষালতায় ফল ধরিবে না, জলপাইবৃক্ষ ফলদানে বঞ্চনা করিবে, ও ক্ষেত্রে খাদ্যদ্রব্য উপন্ন হইবে না, খোঁয়াড় হইতে মেষপাল উচ্ছিন্ন হইবে, গোষ্ঠে গরু থাকিবে না; তথাপি আমি সদাপ্রভুতে আনন্দ করিব, আমার ত্রাণেশ্বরে উল্লসিত হইব।
ধিক্ তাহাকে, যে আপন নির্মাতার সহিত বিবাদ করে; সে ত মাটির খোলার মধ্যবর্তী খোলা মাত্র। মৃত্তিকা কি কুম্ভকারকে বলিবে, ‘তুমি কি নির্মাণ করিতেছ?’ তোমার রচিত বস্তু কি বলিবে, ‘উহার হস্ত নাই?’
অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর; আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।
কিন্তু আমরা সকলে অনাবৃত মুখে প্রভুর তেজ দর্পণের ন্যায় প্রতিফলিত করিতে করিতে তেজ হইতে তেজ পর্যন্ত যেমন প্রভু হইতে, আত্মা হইতে হইয়া থাকে, তেমনি সেই মূর্তিতে স্বরূপান্তরীকৃত হইতেছি।
আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই, তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না। আমার পিতা, যিনি তাহাদের আমাকে দিয়াছেন, তিনি সর্বাপেক্ষা মহান; এবং কেহই পিতার হস্ত হইতে কিছুই কাড়িয়া লইতে পারে না। আমি ও পিতা, আমরা এক।
আর তোমাদের বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত আমি যে সেই থাকিব, পক্বকেশ হওয়া পর্যন্ত আমিই তুলিয়া বহন করিব; আমিই নির্মাণ করিয়াছি, আমিই বহন করিব; হাঁ, আমিই তুলিয়া বহন করিব, রক্ষা করিব।