কিন্তু তোমরা যে আমার নাম ভয় করিয়া থাক, তোমাদের প্রতি ধার্মিকতা-সূর্য উদিত হইবেন, তাঁহার পক্ষপুট আরোগ্যদায়ক; এবং তোমরা বাহির হইয়া পালের গোবৎসদের ন্যায় নাচিবে।
তখন পিতর মুখ খুলিয়া কহিলেন, আমি সত্যই বুঝিলাম, ঈশ্বর মুখাপেক্ষা করেন না; কিন্তু প্রত্যেক জাতির মধ্যে যে কেহ তাঁহাকে ভয় করে ও ধর্মাচরণ করে, সে তাঁহার গ্রাহ্য হয়।
তথাচ তিনি আমার অবলম্বিত পথ জানেন, তিনি আমার পরীক্ষা করিলে আমি সুবর্ণের ন্যায় উত্তীর্ণ হইব। আমার পদ তাঁহার পদচিহ্ন ধরিয়া চলিয়াছে, তাঁহার পথে রহিয়াছি, বিপথগামী হই নাই।
জ্ঞানবান কে? সে এই সকল বুঝিবে; বুদ্ধিমান কে? সে এই সকল জ্ঞাত হইবে; কেননা সদাপ্রভুর পথ সকল সরল এবং ধার্মিকগণ সেই সকল পথে চলে, কিন্তু অধর্মাচারিগণ সেই সব পথে উছোট খায়।
এখন আমি নবূখদ্নিৎসর সেই স্বর্গরাজের প্রশংসা, প্রতিষ্ঠা ও সমাদর করিতেছি; কেননা তাঁহার সমস্ত ক্রিয়া সত্য, ও তাঁহার পথ সকল ন্যায্য; আর যাহারা স্বগর্বে চলে, তিনি তাহাদিগকে খর্ব করিতে পারেন।
আর আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অধার্মিকতার অস্ত্ররূপে পাপের কাছে সমর্পণ করিও না, কিন্তু আপনাদিগকে মৃতদের মধ্য হইতে জীবিত জানিয়া ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর, এবং আপন আপন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধার্মিকতার অস্ত্ররূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ কর।
আমি উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ করিয়াছি, নিরূপিত পথের শেষ পর্যন্ত দৌড়াইয়াছি, বিশ্বাস রক্ষা করিয়াছি। এখন অবধি আমার নিমিত্ত ধার্মিকতার মুকুট তোলা রহিয়াছে; প্রভু, সেই ধর্মময় বিচারকর্তা, সেই দিন আমাকে তাহা দিবেন; কেবল আমাকে নয়, বরং যত লোক তাঁহার প্রকাশপ্রাপ্তি ভালবাসিয়াছে, সেই সকলকেও দিবেন।